নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন সিস্টেম হলো একাধিক ডিভাইস বা নোডের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের প্রক্রিয়া। এটি ডেটা আদান-প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট প্রোটোকল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
এখানে নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের মূল উপাদান, প্রক্রিয়া এবং প্রোটোকল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের উপাদান:
সোর্স বা প্রেরক (Source):
ডেটা প্রেরণকারী ডিভাইস, যেমন কম্পিউটার, স্মার্টফোন, বা সার্ভার।
ডেস্টিনেশন বা গ্রাহক (Destination):
যে ডিভাইস ডেটা গ্রহণ করে, যেমন কম্পিউটার বা প্রিন্টার।
যে ডিভাইস ডেটা গ্রহণ করে, যেমন কম্পিউটার বা প্রিন্টার।
ট্রান্সমিশন মিডিয়া (Transmission Media):
ডেটা প্রেরণের মাধ্যম। এটি হতে পারে তারযুক্ত (যেমন: কো-এক্সিয়াল, অপটিক্যাল ফাইবার) বা
ডেটা প্রেরণের মাধ্যম। এটি হতে পারে তারযুক্ত (যেমন: কো-এক্সিয়াল, অপটিক্যাল ফাইবার) বা
তারবিহীন (যেমন: Wi-Fi, Bluetooth)।
নেটওয়ার্ক ডিভাইস (Network Devices):
ডেটা পরিচালনা ও রাউট করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস, যেমন রাউটার, সুইচ, এবং গেটওয়ে।
ডেটা পরিচালনা ও রাউট করার জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস, যেমন রাউটার, সুইচ, এবং গেটওয়ে।
প্রোটোকল (Protocol):
ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহৃত নিয়ম ও নীতিমালা। উদাহরণ: TCP/IP, HTTP, FTP।
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ধাপ:
ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ব্যবহৃত নিয়ম ও নীতিমালা। উদাহরণ: TCP/IP, HTTP, FTP।
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ধাপ:
ডেটা এনকোডিং:
প্রেরক ডেটা প্রস্তুত করে এবং তা একটি ডিজিটাল ফর্ম্যাটে এনকোড করে।
প্রেরক ডেটা প্রস্তুত করে এবং তা একটি ডিজিটাল ফর্ম্যাটে এনকোড করে।
ডেটা ট্রান্সমিশন:
ট্রান্সমিশন মিডিয়ার মাধ্যমে ডেটা প্রেরণ করা হয়।
ট্রান্সমিশন মিডিয়ার মাধ্যমে ডেটা প্রেরণ করা হয়।
ডেটা রাউটিং:
নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ডেটাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে ডেটাকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ডেটা ডিকোডিং:
গ্রাহক ডিভাইস প্রাপ্ত ডেটা ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারীর জন্য তা উপস্থাপন করে।
গ্রাহক ডিভাইস প্রাপ্ত ডেটা ডিকোড করে এবং ব্যবহারকারীর জন্য তা উপস্থাপন করে।
ডেটা যাচাইকরণ:
প্রাপ্ত ডেটা সঠিকভাবে এসেছে কি না, তা যাচাই করা হয়।
প্রাপ্ত ডেটা সঠিকভাবে এসেছে কি না, তা যাচাই করা হয়।
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের প্রোটোকল:
1. TCP/IP (Transmission Control Protocol/Internet Protocol):
ইন্টারনেটের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ডেটা প্যাকেট আকারে প্রেরণ করে।
নির্ভরযোগ্য এবং সিকিউর ডেটা ট্রান্সফার নিশ্চিত করে।
2. HTTP/HTTPS (Hypertext Transfer Protocol):
ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ডেটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
HTTPS এনক্রিপশন যোগ করে সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
HTTPS এনক্রিপশন যোগ করে সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
3. FTP (File Transfer Protocol):
ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ফাইল স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
4. SMTP (Simple Mail Transfer Protocol):
ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইমেইল প্রেরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
5. DHCP (Dynamic Host Configuration Protocol):
নেটওয়ার্ক ডিভাইসকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে IP অ্যাড্রেস বরাদ্দ করে।
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ধরণ:
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের ধরণ:
LAN (Local Area Network):
একটি সীমিত অঞ্চলে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: অফিস নেটওয়ার্ক।
একটি সীমিত অঞ্চলে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: অফিস নেটওয়ার্ক।
WAN (Wide Area Network):
একটি বৃহৎ অঞ্চলে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: ইন্টারনেট।
একটি বৃহৎ অঞ্চলে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: ইন্টারনেট।
MAN (Metropolitan Area Network):
একটি শহরের মধ্যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
উদাহরণ: মেট্রো ইন্টারনেট।
একটি শহরের মধ্যে ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
উদাহরণ: মেট্রো ইন্টারনেট।
PAN (Personal Area Network):
ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
ব্যক্তিগত ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে।
উদাহরণ: ব্লুটুথ কানেকশন।
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের চ্যালেঞ্জ:
নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের চ্যালেঞ্জ:
ডেটা সিকিউরিটি:
ডেটা ট্রান্সমিশন নিরাপদ রাখার জন্য এনক্রিপশন প্রয়োজন।
ডেটা ট্রান্সমিশন নিরাপদ রাখার জন্য এনক্রিপশন প্রয়োজন।
ব্যান্ডউইথ সমস্যা:
উচ্চমানের ডেটা আদান-প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা।
উচ্চমানের ডেটা আদান-প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করা।
লেটেন্সি (Latency):
ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের সময়ের বিলম্ব কমানো।
ডেটা প্রেরণ ও গ্রহণের সময়ের বিলম্ব কমানো।
নেটওয়ার্কের রক্ষণাবেক্ষণ:
নেটওয়ার্কের ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ ও মেরামত।
0 Comments
Thans for your comment.